Home জাতীয় অন্যায়ের প্রতিবাদ না করলে সমাজে শান্তি ফিরবে না, প্রতিবাদ করা ঈমানি দায়িত্ব

অন্যায়ের প্রতিবাদ না করলে সমাজে শান্তি ফিরবে না, প্রতিবাদ করা ঈমানি দায়িত্ব

মানুষ সামাজিক জীব হিসেবে সকলেই একসাথে বসবাস করে। শান্তিময় জীবন-যাপনের জন্য মানুষ সবসময় চেষ্টা চালিয়ে যায়। কোনো মানুষের শরিরে ভালো মন্দ লিখা থাকে না। তার আচরণে ও কাজকর্মে ভালোমন্দ বিচার করা হয়। খারাপ লোকেরা যখন বুঝে অন্যায় করলে কেউ প্রতিবাদ করবে না,তখন সে অন্যায় করার সাহস পায়।সমাজে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে হলে আমাদেরকে প্রতিবাদী হতে হবে। আমাদেরকে সকল অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে হবে।

সময়মতো যদি অন্যায়ের প্রতিবাদ করা না হয়, তাহলে এর ফল গোটা জাতিকে ভোগ করতে হয়।

তাই সমাজে কোনো অন্যায়-অনাচার দেখা দিলে সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে তা প্রতিহত করা আবশ্যক।
কিন্তু আমাদের সমাজে এখন আর অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে অনেকে আগ্রহ দেখায় না। চোখের সামনে ঘটে যাওয়া হাজারো অন্যায়কে ঠাণ্ডা মাথায় এড়িয়ে চলে। অন্যায়ের প্রতিবাদকে তারা অযথা ঝামেলায় জড়ানোই মনে করে।

এতে মানুষ নিজেদের অজান্তেই গোটা জাতির ওপর আরো বড় বিপদ ডেকে আনে।

সাধ্যমতো অন্যায়ের প্রতিবাদ করা প্রতিটি মানুষের ঈমানি দায়িত্ব। রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, ‘তোমাদের মধ্যে যেকোনো অন্যায়কারীকে দমনে সে যেন হাত দিয়ে প্রতিরোধ করে, যদি তা করতে না পারে তবে সে যেন মুখ দিয়ে প্রতিহত করে। যদি সে মুখ দিয়েও না পারে তাহলে যেন অন্তর দিয়ে ঘৃণা পোষণ করে; আর এটাই দুর্বল ঈমানের পরিচয়।’ (বুখারি)

রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘মানুষ যখন কোনো অত্যাচারীকে দেখেও অন্যায় থেকে তার হাতকে প্রতিরোধ করবে না, শিগগিরই আল্লাহ তাদের সবার ওপর ব্যাপক আজাব নাজিল করবেন।’ (তিরমিজি ও আবু দাউদ)

সমাজ থেকে অপরাধ নির্মূল করতে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করার কোনো বিকল্প নেই। একটা সমাজে অপরাধ তখনই বেড়ে যায়, যখন অপরাধী বারবার অপরাধ করে পার পেয়ে যায়।

তাই মহান আল্লাহ সমাজে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার প্রতি অধিক গুরুত্ব দিয়েছেন। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘হে ঈমানদারগণ! ন্যায়বিচারে তোমরা অটল থেকো, আল্লাহর পক্ষে সাক্ষ্য প্রদানকারীরূপে যদিও নিজেদের প্রতিকূলে যায় অথবা পিতা-মাতা ও নিকটাত্মীয়দের, সে ধনী বা গরিব হোক, আল্লাহই উভয়ের জন্য উত্তম অভিভাবক। সুতরাং তোমরা ন্যায়বিচার করতে নিজ নিজ খেয়ালখুশির (পক্ষপাতিত্বের) বশীভূত হয়ো না।’ (সুরা আন-নিসা, আয়াত : ১৩৫)
এই আয়াতে মহান আল্লাহ তাআলা তাঁর প্রিয় বান্দাদের বিচারের ক্ষেত্রে কোনো ধরনের আত্মীয়তা, ধন-সম্পদ কিংবা ব্যক্তিগত স্বার্থের প্রভাব থেকে মুক্ত থাকতে নির্দেশ দিয়েছেন। পাশাপাশি মানুষকে সৎকাজে আদেশ করার প্রতিও গুরুত্ব দিয়েছেন।

মহান আল্লাহ ইরশাদ করেন, ‘তোমরা শ্রেষ্ঠ উম্মত, মানবজাতির কল্যাণে তোমাদের আবির্ভাব হয়েছে। তোমাদের দায়িত্ব হচ্ছে তোমরা সৎকাজের আদেশ করবে এবং নিষেধ করবে মন্দ কাজ থেকে।’ (সুরা আলে ইমরান, আয়াত : ১১০)
সত্যি কথা হলো, যত দিন আল্লাহর জমিনে আল্লাহর দেওয়া নির্দেশনার বাস্তবায়ন হবে না, তত দিন পৃথিবীতে শান্তি প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন সুদূরপরাহত।

সর্বশেষ খবর

এনবি ২৪ একটি বহুল পঠিত অনলাইন বাংলা সংবাদপত্র।

© ২০২৩ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত – এনবি ২৪

কোডিং এবং ডেভেলপমেন্ট – গ্রোউজ আইটি