
পাকিস্তানের পেশোয়ারে মসজিদে হওয়া আত্মঘাতী বোমা হামলার ঘটনায় এখন পর্যন্ত নিহত হয়েছেন ৫৯ জন, আহত হয়েছেন অন্তত ১৫৫ জন।
এ হামলার দায় অস্বীকার করেছে পাকিস্তানে সক্রিয় তালেবান। অবশ্য এর আগে তালেবানের এক কমান্ডার এ হামলার পেছনে দলটির হাত আছে বলে দাবি করেছিলেন। তবে তালেবানের পক্ষ থেকে সে দাবি নাকচ করে বলা হয়েছে, এর সাথে দলটির কোনো সম্পৃক্ততা নেই। খবর বিবিসির।
সোমবার (৩০ জানুয়ারি) স্থানীয় সময় দুপুরে নামাজের সময় ওই মসজিদে আত্মঘাতী বোমা হামলার ঘটনা ঘটে। ওই সময় সেখানে ৩০০-৪০০ জন পুলিশ সদস্য ছিলেন। হামলার শিকার এ মসজিদটি পাকিস্তানের অন্যতম কঠোর পুলিশি নজরদারিপ্রবণ এলাকায় অবস্থিত। তবুও কীভাবে এত বড় হামলা হলো, তা নিয়ে চলছে তদন্ত। তবে এ হামলার মূল টার্গেটই ছিলেন পুলিশ সদস্যরা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, স্থানীয় সময় দুপুর ১টা ৪০ মিনিটে হঠাৎ বিকট শব্দে বিস্ফোরণ হয়। এতে মসজিদের একাংশ ধসে পড়ে। ধসে পড়া অংশের নিচে চাপা পড়েন অনেকে। অনেকে আহত হন। তাদের উদ্ধার করে নিকটবর্তী হাসপাতালে নেয়া হয়।
এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন পাক প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ। বলেন, যারা দেশকে রক্ষা করছে, তাদের মধ্যে ভীতি তৈরির চেষ্টা করছে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী। কিন্তু এ ধরনের হামলার সাথে ইসলাম বা ইসলামি মতাদর্শের কোনো সম্পর্ক নেই। এ হামলার নিন্দা জানিয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসও। তার মুখপাত্র বলেন, ধর্মীয় উপাসনালয়ে এ ধরনের হামলা অত্যন্ত ঘৃণ্য কাজ।
এর আগে, গত ডিসেম্বরেও পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের একটি পুলিশ স্টেশনে এই ধরনের হামলার ঘটনা ঘটে। ওই সময় প্রাণ হারান ৩৩ জন। মূলত গত নভেম্বরে তালেবান যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করার পর থেকেই দেশটিতে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে দলটি। বিচ্ছিন্ন ও পরিকল্পিতভাবে একাধিক হামলা চালানো হচ্ছে, যাতে প্রাণ যাচ্ছে বহু সাধারণ মানুষের।
এএনবি২৪ ডট নেট /এম এইচ কে।